30.5.11

ইভটিজিং এর কারখানা হলো সিনেমা-নাটক আর ক্যাবল টিভি  ইত্যাদি মাধ্যমগুলো?? 
 আমার কথা শুনে হয়তো অনেকেই বলে বসবেন যে, লোকটা সেকেলে-অনাধুনিক ইত্যাদি । নাহ, আমি অত্যন্ত আধুনিকসত্বেও অভিজ্ঞতার আলোকেই বলছি। আপনাদের বিবেক কী বলে এবার আপনারাই বলুন?

  প্রথমত; আদালত ইভটিজিংকেও যৌনহয়রানী বলে রায় দিয়েছে, যা একদম সঠিক। আর এ ধরণের হয়রানীর গুরু হল আমাদের বস্তাপঁচা অধিকাংশ সিনেমা-নাটক ইত্যাদি। কারণ সিনেমা-নাটকেই দেখানো হয় যে, বখাটেরা বা প্রেমপিয়াসীরা টার্গেটকৃ্ত মেয়েদের পেছনে লেগেই থাকে এবং নানাভাবে উত্যক্ত করে যাকে আইনীভাষায় বর্তমানে ইভতিজিং বলে!  

  নারী বা মেয়েদের স্কুল-কলেজ, কর্মস্থল বা রাস্তা-ঘাটে আজ যে নানাভাবে উত্যক্ত করা হয় যেমন পথ আগলে ধরা, গায়ে হাত দেয়া, ওড়না টেনে ধরা, ধর্ষন করা, জোরপুর্বক বিয়ে করা, বিয়ের আসর থেকে তুলে নেয়া, বিয়ে বা প্রেম/অসম প্রেমের প্রস্তাবে রাজী না হলে মেয়ের বাপ-মা'র সাথেও খারাপ ব্যবহার এমনকি হত্যা করার দৃশ্যাবলী এমনকি মেয়েদের অসামাজিক-উদোম পোশাক পড়ানো বা গিলানোও শিখিয়েছে এইসব মাধ্যম! এইসব মাধ্যম যখন একেবারেই ছিলোনা বা কম ছিলো বা শালীনতার ভেতরেই সীমাবদ্ধ ছিল, তখনকার অবস্থার সঙ্গে বর্তমানউবস্থার তুলনা করলেই ব্যাপারটা অস্বীকার করার জো থাকেবেনা।

  অন্যভাবে বলা যায়, এসবের যত উন্নতি ঘটেছে নৈতিক অধপতন আমাদের ততই বেড়েছে মানে সীমাহীনপর্যায়ে এসে ঠেকেছে।




  শুধু তা-ই নয়, সিনেমা-নাটক ও দিশ লাইনের বদৌলতে আজ যৌনহয়রানী বা ইভটিজিং এর প্ররোচনাই দেয়া হয় না এমনকি আইন না মানা যেমন ধুমপানের দৃশ্য, বেপরোয়া গাড়িচালানো,  ট্রাফিককে না মানা, আইন হাতে তুলে নেয়া, বিয়ের ক্ষেত্রে বাপ-মায়ের সম্মতিকে অবজ্ঞা দেখিয়ে  প্রেমকেই পবিত্রতার দোহাই দিয়ে বড় করে দেখানোসহ হাজারো বেআইনী বিষয়কে উৎসাহিত করা হয়, যা আমাদের সন্তানদের মনে রেখাপাত করে কী ছেলে কী মেয়ের ভেদাভেদ নেই এখানে!!

  আমাদের সমাজ-ব্যবস্থা, ধর্ম- রীতি-নীতিকে যদি এসব মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা যেতো, তাহলে আমাদের অবস্থা এতো খারাপ হতো না, এটা আমার অভিজ্ঞতার কথা বললাম। এখন আপনারাও বলুন, আমাদের নতুন প্রজন্মকে বাঁচাতে আমাদের করণীয় কী কী হতে পারে।।